বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি ভোলার জেলেদের Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি ভোলার জেলেদের

বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি ভোলার জেলেদের




ইমতিয়াজুর রহমান ॥ দেশে ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ভোলাসহ উপকূলীয় ১০ জেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষিত ৩২০ কিলোমিটার এলাকায় শুক্রবার থেকে ২ মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদফতর। এ অভিযান সফল করতে জেলা ও উপজেলায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মীরা শুক্রবার সকাল থেকে নদী এলাকায় অবস্থান করেন।

এ সময় মাইকে জেলেদের সতর্ক করা হয়। তবে ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন ভোলা জেলার ২ লাখ জেলেসহ উপকূলের প্রায় সাড়ে ৫ লাখ জেলে। এসব জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম মুন্সী।

 

একই কথা জানান জেলেরা। এদিকে ইলিশের নির্বিঘ বিচরণ ও বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে যেসব অঞ্চলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে তা হচ্ছে, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চররুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, ভোলার চরভেদুরিয়া থেকে বরিশালের হিজলা উপজেলা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ৩০ কিলোমিটার, ভোলার ইলিশা থেকে সাগরমোহনার চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হওয়ায় উপকূলীয় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়েছে বলে দাবি জেলে সমিতির।

 

জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, এসব জেলে পরিবারকে সহায়তা দিতে সরকার ৪ মাসের জন্য প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। তবে জেলেরা জানান, তারা কোনো চাল পাচ্ছেন না।

 

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম অজাহারুল ইসলাম জানান, ওই জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন। এর মধ্যে ৪০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫২ হাজার ২৫০ জনের জন্য। গত মাস থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এসব চাল বিতরণের কথা ছিল।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল দ্রুত জেলেদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD